শ্রেয়সী ভট্টাচার্য্য, নিজস্ব প্রতিবেদন : চৈত্রের শেষ হতে না হতেই তাপপ্রবাহ বিপুল পর্যায়ে বাড়তে শুরু করে দিয়েছে।বাইরে বেড়ানো প্রায় মুশকিল হয়ে যাচ্ছে কলকাতাবাসীদের। নববর্ষের দিনে তাপপ্রবাহ চরম থেকে চরম পর্যায়ে বাড়ছে।এই প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ট্রাফিক পুলিশরা ছাতা ছাড়া রাস্তাতে গাড়ি ,মেট্রো, ট্রাক, বাস, লরি ইত্যাদি অনবরত সামলিয়ে যাচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ না থাকলে রাস্তায় চলা মানুষদের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াতো।
এত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও তারা দিনের পর দিন আমাদের পরিষেবা দিয়ে আসছে। দশ বছরে তাপপ্রবাহ রেকর্ড করল এবছরের পয়লা বৈশাখ। সকলেই এই দিন নানা জায়গাতে হালখাতা করতে যায় ফলে রাস্তায় অতিরিক্ত যানজট থাকে। এই দিনে সকলের ছুটি থাকলেও ট্রাফিক পুলিশদের কোনো ছুটি থাকে না। তারা নিজেদের পরিবার ছেড়ে চলে আসে টাটাপোড়া রোদে মানুষদের সেবা দিতে।
অনেক ট্রাফিক পুলিশ মানুষদের সেবা দিতে দিতে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।শনিবার নববর্ষের প্রাক্কালে নৈহাটি নবপ্রজন্ম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাচ্ছে শুধু ট্র্যাফিক পুলিশই নয়, কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের সেবা দিতে। এই রোদের হাত থেকে বাঁচাতে তারা তাদের গ্লুকোজ, জল, সানগ্লাস, ছাতা ইত্যাদি নানা জিনিস বিতরণ করছে। শুধু জলই নয় জলের সাথে গ্লুকোজ, ওয়ারেস বিতরণ করা হচ্ছে যাতে রোদে কাজ করার সাথে সাথে এগুলো পান করে তারা কিছুটা স্বস্তি পায়।
ট্রাফিক পুলিশদের যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যখন তারা রোদে কাজ করবে তখন যাতে ছাতা, জল ইত্যাদি ব্যাবহার করে সেই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে তারা কিছুটা হলেও এই গরমে সুস্থ থাকবে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শুভম দাস আমাদের এক প্রতিনিধিকে বলেন, যাদের পথে থেকে কাজ করাই ডিউটি সেই মানুষগুলির কথা ভাবছে আমাদের সংস্থা। তাই শহরের মুখ্য রাস্তার মোড় গুলিতে যে সমস্ত ট্রাফিক কনস্টেবল, সিভিক পুলিশ কর্মরত তাদেরকে সামান্য স্বস্তি দিতে এগিয়েছি আমরা। এলাকার মোড়গুলিতে গিয়ে তাদের প্রত্যেকের হাতে একটি জলের বোতল এবং ওআরএসের প্যাকেট তুলে দিলাম আমরা। এই মহতী কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি তথা নৈহাটি পৌরসভার সিআইসি পার্থপ্রতীম দাশগুপ্ত, শুভ্রজ্যোতি চক্রবর্তী, সুজয় দাস সহ সংস্থার অন্যান্য সদস্য-সদস্যাবৃন্দ।