যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকার দরুন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন সমস্ত ভক্তরা। এতটাই ভিড় জমে গিয়েছিল যে পদপৃষ্ঠ হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়। বেশ কয়েকজন ভক্ত অসুস্থ বোধ করেন জানা যায় প্রতি সংক্রান্তিতেই এমন ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে পুরীত জগন্নাথ মন্দিরে কিন্তু তা সত্ত্বেও মন্দির কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করেন না।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক বুধবার সকালের পরিস্থিতি সম্পর্কে। পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রত্যেক ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় জায়গা। বারংবার গিয়েও এর আকর্ষণ বিন্দুমাত্র কমে না। সদ্য মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে যে কারণে কয়েক দিন ধরে ভক্ত সমাগম বেশিই দেখা গিয়েছে পুরীতে। বুধবার সকালে মন্দিরের পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের ফটক দুটি খোলা থাকা সত্ত্বেও ভিড় সামাল দেয়া যায়নি। পুলিশ মোতায়েন করা থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় কারণ এতটাই জনজোয়ার দেখা গিয়েছিল পুরীর মন্দির চত্বরে। পুজো দিতে এসে অনেক ভক্তই প্রবেশদ্বার পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি। ভিড়ের চাপে অনেকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়, আবার অনেক পুন্যার্থী আহতও হয়েছেন, অসুস্থ হয়ে অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে আচমকা পুরীর মন্দিরে ভিড়ের কারণ কি? তা সম্পর্কে পুলিশ যা জানিয়েছে তা হলো বুধবার ছিল ফাল্গুন মাসের সংক্রান্তি এবং প্রতিমাসের সংক্রান্তিতেই এরূপ জনজোয়ার দেখা যায় পুরীর মন্দিরে, যাকে বলে মাছি পর্যন্ত গলতে পারবেনা এতটাই ধীরে ঠাসা। পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাঁরা বলেন গুজব ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। যে সমস্ত মানুষরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা এখন সুস্থ রয়েছেন। পুলিশ উড়িষ্যা টিভিকে জানান কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছিল ঠিকই পরে আবার সবটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন সেই থেকেই যাচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ সবটুকু জেনেও কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেন না তা নিয়ে।এর সদুত্তর আগামী দিনও পাওয়া যাবে কিনা তাও ধোঁয়াশাতে।