গঙ্গার পলি তোলাকে কেন্দ্র করে ফের অশান্তি ছড়ালো। ইতিমধ্যেই জাতীয় পরিবেশ আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়ে গিয়েছে। সেই মামলায় অভিযোগ করা হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের বিরুদ্ধে অর্থাৎ যেটিকে কলকাতা বন্দর বলেই চিনি। তবে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে হলফনামা জমা দেন এবং বলেন সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এমনকি বিশেষজ্ঞদের তদারকির মাধ্যমে পলি নিষ্কাশনের কাজ করা হচ্ছে।
এই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল টেকনোলজি সেন্টার ফর স্পোর্টস ওয়াটার ওয়েজ এন্ড কোস্ট বা এনটিসিপিডব্লিউসি। তাদের পরামর্শ এখানে নেয়া হচ্ছে। যারা শুধুমাত্র দেশীয় স্তরে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরের বন্দর উপকূলবর্তী ও সামুদ্রিক সংক্রান্ত বিষয়ে যথেষ্টই অভিজ্ঞ, তাই কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ এও দাবি করেছেন সম্পূর্ণ পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের বিধি মেনেই এই কাজ করা হচ্ছে। তবে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে এই অনিয়ন্ত্রিত পলি নিষ্কাশনের ফলে বড় বড় গাছের ক্ষতি হচ্ছে সেগুলি উপরে পড়ে যাচ্ছে কারণ বোটানিক্যাল গার্ডেনের সংলগ্ন তীরবর্তী এলাকায় পলিজমে ভারসাম্য ব্যাঘাত ঘটছে। তৎক্ষণাৎ আদালতের হস্তক্ষেপে বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশিকা জারি করা হয়।সেই নির্দেশ মতোই বন্দর কর্তৃপক্ষ জবাবদিহি করেন।
তাঁরা বলেন সমস্ত কাজকর্মই বিশেষজ্ঞ মহলের উপস্থিতিতে করা হয় ইচ্ছামত কোথা থেকে পলি নিষ্কাশন করা হয় ন। তবে তারা এও বলেন বোটানিক্যাল গার্ডেনের মাটি ক্ষয় হচ্ছে পলি নিষ্কাশনের জন্য এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গঙ্গার পলি তুলে, গঙ্গার বুকেই ফেলা হচ্ছে। অগভীর জায়গা থেকে পলি তুলে গভীর জায়গায় ফেলা হচ্ছে যাতে জাহাজ চলাচলের সুবিধা হয়। কিন্তু সেটি একটি নির্দিষ্ট জায়গাতেই কাজ চলছে সমগ্র গঙ্গার বুকে কাজ চলছে না কারণ সমস্ত গঙ্গায় এই কাজ চালানোর মতো লোকবল এবং অর্থ পর্যাপ্ত নেই। তবে এই প্রসঙ্গে আগামী দিনেও চাপানোতোর চলবে সেটি কোন দিকে মোড় নেয় সেটিই দেখার বিষয়।