চলতি বছরের ১৮ই এপ্রিল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন বিজেপি নেত্রী রিঙ্কু। বিয়ের ঠিক ২৫ দিনের মাথায় অর্থাৎ চলতি বছরের ১৩ই মে মঙ্গলবার সকালে নিউ টাউনের সাপুরজি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের পঁচিশ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র সৃঞ্জয়ের মৃতদেহ। আইটি কর্মী সৃঞ্জয় দাশগুপ্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় সৃঞ্জয়ের দেহ। ময়নাতদন্তের পর সেখান থেকে ওই দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা শ্মশানে।
ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক হয়ে পড়েন রিঙ্কু ও দিলীপ। নিমতলা শ্মশানে সৃঞ্জয়ের দেহের সামনে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন যে, ‘‘মায়ের সব কিছু ছিল ছেলে। অনেক কষ্টে ওকে মানুষ করেছে। ছেলেও সর্বগুণসম্পন্ন। পড়াশোনায় ভাল। দেখতে-শুনতে ভাল। ভাল কথা বলত। কখনও ভাবিনি এমন কিছু হতে পারে। দুর্ভাগ্য আমার। পুত্রসুখ হয়নি। পুত্রশোক হলো। কল্পনাই করিনি।’’ এদিন স্ত্রী রিঙ্কু জানান যে, তার বিয়ের পরে তার ছেলে কিছুটা মনমরা ছিলেন, ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করতেন না, স্নায়ুর অসুখ ছিল। এমনকি ঠিকমতো ওষুধপত্র খেতেন না। বর্তমানে প্রকাশ্যে এসেছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। সেখানে কোথাও ‘ফাউল প্লে’ কিংবা আত্মহত্যার উল্লেখ নেই।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সৃঞ্জয়ের হৃদ্যন্ত্র, লিভার এবং কিডনি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় ছিল বলে খবর। এই লক্ষণগুলি মূলত রক্তচাপের সমস্যা থাকলে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ময়নাতদন্ত হয়েছিল পৌনে ৫টা নাগাদ। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলেছেন যে, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হলো অ্যাকিউট হেমরেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস। এর অর্থ হলো অগ্ন্যাশয়ে প্রদাহ। প্রাথমিক রিপোর্টে অগ্ন্যাশয়ে রক্তক্ষরণ থেকে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এমনকি সৃঞ্জয়ের হৃদযন্ত্রের আকার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল বলে জানা গেছে। জানা গেছে যে, রিঙ্কুর পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে।