সিকিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পড়ুয়াদের জন্য জারি হলো ঋতুকালীন ছুটি। নয়া নীতি অনুযায়ী, এখন থেকে এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা তাদের ঋতুচক্রের সময়ে প্রতি মাসে এক দিন করে ছুটি নিতে পারবেন। জানিয়ে রাখি, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে, সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রীদের ঋতুকালীন ছুটির বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আর ঠিক তারপরেই এহেন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রীয় ভাবে এখনও পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ঘোষণা কার্যকর হয়নি। তবে, বিভিন্ন রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের নীতি গৃহীত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনোরকম ঘোষণা করা হয়নি। সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে, এই ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা চাইলে নিজেদের প্রয়োজন মতো ছুটি নিতেই পারেন। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে পড়ুয়াদের ঋতুকালীন স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, দেশের স্কুলছাত্রীদের জন্য ঋতুকালীন স্বাস্থ্যনীতি তৈরি হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের এপ্রিল মাসে এই নীতি প্রস্তুত করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের জন্য এই ঋতুকালীন স্বাস্থ্যনীতি তৈরি হয়েছে।
আপনাদের বলি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের পদক্ষেপ নতুন কিছু নয়। ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করতে এর আগেও বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে পৃথক ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়েছে। গত বছর কেরল সরকার, রাজ্যের সমস্ত সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের জন্য ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কেরলের আইটিআই প্রতিষ্ঠানগুলিকেও বর্তমানে এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এর আওতায় এখন পড়ুয়ারা প্রতি মাসে দুই দিন করে ঋতুকালীন ছুটি নিতে পারবেন। কেরলের পাশাপাশি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রীদের জন্য এই সুবিধা রয়েছে। পাঞ্জাবেও পডু়য়ারা প্রতি মাসে এক দিন করে ঋতুকালীন ছুটি নিতে পারবেন, তবে প্রতি সেমেস্টারে সর্বাধিক চারটি ছুটি নেওয়া যায়। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, এই ঋতুকালীন ছুটির বিষয়ে ছাত্রীদের বেশি করে সচেতন করতে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের নোটিস বোর্ডে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশও দিয়েছে।