বোলপুরের আম্রপালি হস্টেলে এবার সৃষ্টি হলো চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। আসলে সেখানে বিশ্বভারতীর এক পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই হস্টেল থেকে পড়ুয়ার মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, বিশ্বভারতীর ওই পড়ুয়ার নাম অনামিকা সিংহ, যিনি বারাণসীর বাসিন্দা। পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতে প্রথমে বীরভূম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার রানা মুখোপাধ্যায় এবং বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল ঘটনাস্থলে যান।
পরবর্তীতে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে সেখানে যান কর্মসচিব অশোক মাহাতো, নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় এবং ছাত্র পরিচালক গণেশ মালিক প্রমুখ। সেখানে পৌঁছলে পড়ুয়াদের একাংশ ওই হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশ এবং বিশ্বভারতী প্রশাসনের বিরুদ্ধে উগরেছেন ক্ষোভ। শুরু করেছেন বিক্ষোভ। পড়ুয়ারা প্রশ্ন করেন যে, কীভাবে বিশ্বভারতীর কোনো আধিকারিককে সঙ্গে না নিয়েই পুলিশ ওই হস্টেলে প্রবেশ করেছে? কেন সিসি ক্যামেরা নেই হস্টেলের প্রধান গেটে? তারা এর বিচার দাবি করেছেন।
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো বলেন, “এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আমরা ছাত্রীর পরিবারকে খবর দিয়েছি। হাসপাতালের কারণে হস্টেলে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে।” ঘটনা প্রসঙ্গ বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বোর্ড বসিয়ে কোনো মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রমাণ লোপাটের ভয়ে হস্টেলের ঘরটি সিল করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে ফরেন্সিক দলকে ডাকা হবে। তদন্তে কোনও ত্রুটি রাখা হবে না।” কী কারণে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই পড়ুয়া বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই বিষয়ে বর্তমানে পুলিশ গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।