এবার গোটা বিশ্বে শুক্রাণু রফতানি করে বেশি সংখ্যক সন্তানের জন্ম দেওয়ার চেষ্টা চলছে সমগ্র ব্রিটেন জুড়ে। বেশিদিন এভাবে চললে প্রায় সব দেশেই হু হু করে বাড়বে ব্রিটেনে জন্মানো শিশুদের সৎ ভাইবোনের সংখ্যা। ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জানা গেছে যে, ব্রিটেন থেকে রফতানি করা শুক্রাণু থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচুর সংখ্যক শিশুর জন্ম হতে পারে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে নানান প্রতিক্রিয়া।
ব্রিটেনের ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, একজন শুক্রাণুদাতা সর্বাধিক ১০টি পরিবারের জন্য শুক্রাণু দান করতে পারেন, তবে শুক্রাণু বা ডিম্বাণু যদি বিদেশে পাঠানো হয়, তবে সেক্ষেত্রে ব্রিটেনে কোনোরকম বিধিনিষেধ নেই। অপরদিকে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, কয়েক বছর বা কয়েক দশক ধরে এক জন শুক্রাণু দাতার শুক্রাণু ব্যবহার করা যেতে পারে, আর তাই এই জন্য শুক্রাণু রফতানির ব্যবসা পরিণত হয়েছে লাভজনক ব্যবসায়। এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞেরা তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লুসি ফ্রিথ বলেছেন যে, এই ভাবে পৃথিবী জুড়ে সন্তানের জন্ম হতে শুরু করলে, সৎ ভাইবোনের সংখ্যা অগুনতি হতে থাকবে।
বিশেষজ্ঞেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই দেশের মানব নিষিক্তিকরণ এবং ভ্রূণবিদ্যা কর্তৃপক্ষকে বিধিনিষেধ আরো কঠোর ও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী, ব্রিটেনের নাগরিকদের জন্য যদি সর্বোচ্চ ১০টি পরিবারের জন্য শুক্রাণু দানের নিয়ম থাকে, তবে তা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকেরা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ নামক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।