অবশেষে ফ্রান্স, পর্তুগালকে টাইব্রেকারে ৫ থেকে ৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল। সেমিফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধে খেলবে ফ্রান্স। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ইউরো কাপ এ বারের মতো শেষ হলো। তাকে আর ইউরো কাপে দেখা যাবে না। দিয়োগো কোস্তা আগের ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক হয়েছিলেন, তবে তিনি এই দিনের পাঁচটি শটের একটিও বাঁচাতে পারলেন না। গোটা ম্যাচ জুড়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পাশাপাশি নিষ্প্রভ থাকলেন কিলিয়ান এমবাপে। দুই জনেই একই রকম খেললেন। কেউই আশানুরূপ ম্যাচ খেলতে পারলেন না। এমবাপের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের পর তাকে তুলে নিলেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ। এর ফলে এমবাপের আর টাইব্রেকারে শট মারা হল না।
আগের ম্যাচে পেনাল্টি নষ্ট করে কেঁদেছিলেন রোনাল্ডো, কিন্তু টাইব্রেকারে করেছিলেন গোল। এই দিনও টাইব্রেকারে গোল করলেন তিনি, কিন্তু দলের বিদায়ের পর তিনি মুখ শুকিয়ে থাকলেন। এই ম্যাচই ছিল রোনাল্ডোর শেষ ইউরো। আর এবার সেই যাত্রা কোয়ার্টার ফাইনালেই গেলো শেষ হয়ে। ফ্রান্স ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিট পর্তুগালকে দাঁড়াতে দেয়নি। এরপর ধীরে ধীরে পর্তুগাল খেলায় নিজেদের দখল নিতে শুরু করে। ফ্রান্সের আক্রমণ তুলনামূলকভাবে ভাল হলেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে তাদের সব আক্রমণ যেনো তালগোল পাকিয়ে যায়। এই একই ঘটনা ঘটলো পর্তুগালের ক্ষেত্রেও। রোনাল্ডো ফরোয়ার্ডে মাঝখানে খেলছিলেন এবং তিনি তার সতীর্থদের থেকে প্রয়োজন মতো বল পাচ্ছিলেন। রোনাল্ডো এখন আগের মতো আর নীচে নেমে বল কেড়ে নিতে পারেন না, তাই তাকে বলে আসার অপেক্ষা করতে হচ্ছিল, কিন্তু কিছুতেই বল আসছিল না।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমবাপে আচমকা চোট পান, তবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার ফেস গার্ড পরে মাঠে নামতে দেখা যায় তাকে। ৫৯ মিনিটের মাথায় ভাল জায়গায় বল পেয়েও সোজা গোলকিপারের দিকে মারেন ব্রুনো। ফিরতি বলে সুযোগ নষ্ট করেন জোয়াও ক্যানসেলো। এরপর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগে চমকে যান অনেকে। এমবাপেকে তুলে নেন দেশঁ। তার জায়গায় নামানো হয় বারকোলাকে। সেই অর্ধেও নির্বিষ খেলা হচ্ছিল। কনসেসাও শেষ দিকে একটি ভাল বল পান, কিন্তু খুব বেশি সময় নেওয়ার জন্য পাস ঠিকঠাক হয়নি। নুনো মেন্দেসের শট বাঁচিয়ে দেন মাইগনান। জয়ের ধ্বজা ওরে ফ্রান্সের।