গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের হরিয়ানায় এক যাত্রীবোঝাই চলন্ত বাসে আগুন লেগে মৃত্যু ঘটেছে আট জনের। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন ২৪ জন। রাত দেড়টা নাগাদ হরিয়ানার নুহ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন তীর্থযাত্রী। বাসটি বৃন্দাবন এবং মথুরা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে ফিরছিল। আর ওই বাসে মূলত পাঞ্জাবের লুধিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং হোশিয়ারপুরের যাত্রীরা ছিলেন।
নুহের কাছে কুন্ডলি-মানেসার-পালওয়াল জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বাসটিতে ধরে আগুন, যার জেরে আগুনে পুড়ে মারা যান আট জন যাত্রী। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা চলন্ত বাসে আগুন লাগা অবস্থায়ী দেখতে পেয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন এবং তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেন। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যেই দমকলের গাড়ি ওই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বাসের এক মহিলা যাত্রী জানিয়েছেন যে, বাসে আগুন ধরে যাওয়ার পর তিনি বাস থেকে লাফ দিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচান।
এক জন বাইক আরোহী বাসে আগুন ধরেছে দেখে চালককে সতর্ক করার জন্য এগিয়ে যান, কিন্তু ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে যায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বাসের নীচ থেকে একটি শব্দ শুনতে পেলাম। আমি ভেবেছিলাম গাড়িটি বাম্পারে ধাক্কা খাওয়ার কারণে ও রকম আওয়াজ হচ্ছে। পরে পোড়া গন্ধ পেয়ে বুঝতে পারি আগুন লেগেছে। এক জন বাইক আরোহী তখন চালককে আগুন লাগার বিষয়ে সতর্ক করেন। আমি একদম সামনের সিটে বসেছিলাম। তাই প্রাণ বাঁচাতে লাফ দিয়ে দিয়েছিলাম।’ ওই মহিলা জানান যে, তিনি পাঞ্জাবের বাসিন্দা এবং তিনি তীর্থযাত্রা করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাসে তাঁর অনেক আত্মীয় ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কী কারণে চলন্ত বাসে আগুন লাগলো, সেই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি, তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে গোটা বিষয়টি নিয়ে।