আজকাল কমবয়সিদের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা বেশ ভালো পরিমাণে বাড়ছে। বছর ৪০-এর আশপাশে কিংবা ৩০-এর কোটায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন এমন অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে। এই স্ট্রোকের কারণে কেউ মারা যাচ্ছেন, কারোর আবার অঙ্গ বিকল হয়ে যাচ্ছে। মুহুর্তের মধ্যে ছিটকে যাচ্ছেন স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহ থেকে। একটা সময় ছিল যখন বয়স্করাই বেশি স্ট্রোকে আক্রান্ত হতেন। সম্প্রতি অল্পবয়সিদের মধ্যে স্ট্রোক আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। স্ট্রোক বলতে আসলে বোঝায় সেরিব্রাল স্ট্রোক। আর এই স্ট্রোক তখনই হয় যখন মস্তিষ্কে ঠিক মতো অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না। আর মস্তিষ্কে তখনই ঠিক মতো অক্সিজ়েন পৌঁছতে না পারে যখন সেরিব্রাম অংশে রক্তক্ষরণ হয় কিংবা রক্তবাহের মধ্যে ফ্যাট জমে থাকে।
স্ট্রোক সাধারণত দুইধরনের হয়, যেমন ইসকিমিক আর হেমারেজিক। ইসকিমিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে রক্ত চলাচল থেমে যায় এবং হেমারেজিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে দুর্বল রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। চিকিৎসকদের মতে প্রতিদিনের কিছু অনিয়মের কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং এর সঙ্গে বেড়ে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন সেই অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি ?
১) স্ট্রোকের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমাতে পারে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, তবে যদি অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার কান, সেক্ষেত্রে স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়তে পারে। তাই এই রোগের ঝুঁকি এড়াতে ‘জাঙ্ক ফুড’, বাইরের অতিরিক্ত তেল, মশলা যুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া বন্ধ করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
২) স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে শরীরচর্চার অভাব। সারাদিন শুয়ে বসে থাকলে শরীরে ওজন বাড়ে, যা ওবেসিটির সমস্যার অন্যতম কারণ। আর এই ওবেসিটি থেকেই বাড়তে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি।
৩) মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে সক্ষম।
৪) যদি বাড়িতে কারও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে কিংবা স্ট্রোক হওয়ার ঘটনা আগেই ঘটে থাকে, তবে সেক্ষেত্রেও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।