নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে ইডির তরফ থেকে তলব করা হয়েছিল সায়নী ঘোষকে। শুক্রবার সকাল ১১:২১ মিনিট নাগাদ ইডির দপ্তরে উপস্থিত হলেন সায়নী ঘোষ। ইডির তরফ থেকে মঙ্গলবার তৃণমূলের যুবনেত্রীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল এবং সেখানেই লেখা ছিল শুক্রবার এগারোটার মধ্যে কলকাতায় ইডির সদর দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে হবে।
এরপর থেকেই যুব তৃণমূল নেত্রী উধাও ছিলেন, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি কলকাতার বিক্রমগড়ের বাড়িতে। এই বিষয়ে মুখে কুলু পেতেছিল শাসক দল। তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে ,অনেকেই সায়নীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি।
তিনি আদেও ইডির দপ্তরে হাজিরা দেবেন কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ ছিল। তবে সমস্ত সন্দেহকে উপেক্ষা করে শুক্রবার সায়নী পৌঁছে যান ইডির দপ্তরে। সেখানে পৌঁছে তিনি জানান, তিনি প্রচারের কাজে ভীষণভাবে ব্যস্ত ছিলেন। অন্যদিকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে তাকে ইডি ডেকেছিল। সেই কারণেই সশরীরে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। তিনি জানান, তিনি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করবেন।
কিন্তু প্রশ্ন কিভাবে ইডির নজরে এলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ? খবর সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তদন্ত করে তদন্তকারীদের হাতে ধরা পড়ে তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ যার সূত্র ধরেই সায়নীর নাম উঠে এসেছে, এবং সেই বিষয়েই সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।
এই প্রথম সায়নীকে ইডির তরফ থেকে তলব করা হলেও এর আগেও তদন্ত চলাকালীন সায়নীর নাম উঠে এসেছিল।কুন্তলের সঙ্গে সায়নীকে দেখা গিয়েছিল একই মঞ্চে কিন্তু তখনও নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ে এই প্রবল দুর্নীতি সামনে আসেনি।
এই বিষয়ে সায়নীকে জিজ্ঞাসা করা হলে সায়নী জানান, তারা দুজনেই একই দলের সদস্য ছিলেন তাই একই মঞ্চে থাকাটাই স্বাভাবিক। কুন্তলকে বহিষ্কার করার বিষয় নিয়েও সায়নী তৃণমূল নেতৃত্বকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন এরকম বিষয় একটি জল্পনা তৈরি হয়েছিল। শাসকদলের দাবি এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি,সব গুজব। সায়নী ঘোষ এই বিষয়ে কোনো কথাই প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি। বর্তমানে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যুবনেত্রী ব্যস্ত রয়েছেন। তৃণমূলের তরফ থেকে জানা গেছে, প্রচারের কাজ তিনি জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছেন।