কলকাতার আরজি কর কাণ্ডকে নিয়ে তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিনেমাতে অভিনয় করে এবার বিতর্কে জড়ালেন প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা প্রান্তিক চক্রবর্তী রয়েছেন এই সিনেমাটির প্রযোজনায়, যিনি আবার একাধারে রাজন্যার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এদিকে তৃণমূল মেনে নেয়নি এহেন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সিনেমা তৈরির বিষয়টিকে। অবশেষে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রান্তিক এবং রাজন্যাকে সংগঠনের পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়।
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, রাজন্যা জানিয়েছেন তাদের পদ থেকে বহিষ্কৃত করলেই তাদের সিনেমাতে কোনোরূপ পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, “আমরা জানি, কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এই সিনেমাটি তৈরি করেছি। স্বল্পদৈর্ঘ্যের সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পরে সকলেই বুঝতে পারবে এটা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে করা। আমরা ইতিহাস বইয়ের পাতায় পড়েছি পটভূমি বলতে সময়কালের কথা বলা হয়। সিনেমা তৈরি করে আমি যদি বলতে না পারি, কোন সময়কালের ঘটনা তুলে ধরছি, তা হলে তো কোনো প্রাসঙ্গিকতাই থাকবে না।”
সিনেমাটির প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার রাজন্যা বলেছিলেন, “একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে এক রাজন্যার জন্ম হয়েছে, কিন্তু রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই রাজন্যার একটা শিল্পীসত্তা ছিল। একটা শৈল্পিক মনন ছিল। একই ভাবে প্রান্তিকেরও তা ছিল। সেই কারণেই এই সিনেমাটা করছি আমরা। রাজনীতি আমাদের পেশা। শিল্পসত্তার সঙ্গে এটার সম্পর্ক নেই।” এরপর দল থেকে বহিস্কার করার প্রসঙ্গে রাজন্যা বলেন, “প্রবাদ রয়েছে, প্রচ্ছদ দেখে কখনও গোটা উপন্যাস কেমন, তা নির্ধারণ করা উচিত নয়। দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার আগেও আমি বলেছিলাম, দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমার মনে হয় আজও আমার আদর্শের জায়গা থেকে এটাই বলা উচিত- দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”