ঘাটালের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী দেব, মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সোরেনের সমর্থনে রোড-শো করেন। সাড়ে ১২টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম শহরের কলেজ মোড় থেকে সুসজ্জিত হুডখোলা গাড়িতে করে শহরের পাঁচমাথা মোড় হয়ে শিব মন্দির মোড় পর্যন্ত রোড-শো করেন। তাঁকে দেখার জন্য রাস্তার দুই পাশে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে ছিল। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা তাঁকে ফুল দেন। দেবের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন রাজ্য বন দফতরের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা দুর্গেশ মল্লদেব-সহ অনেকে।
কালীপদের প্রচারে দেবের মন্তব্য, ‘‘এ বার ঝাড়গ্রামে খুব ভাল এবং পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি। ঝাড়গ্রাম আসনটি এ বার তৃণমূল জিততে চলেছে। মানুষ রায় দিয়ে দিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকেও এ বার অনেক বেশি আসন পাবে তৃণমূল।’’ এদিকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী দেবকে কড়া আক্রমণ করেছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। গরু পাচার মামলা থেকে শুরু করে ঘাটালের উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে দেবকে আক্রমণ করেছেন। দেবের দাবি, যাদের কাছে কোনও ইস্যু থাকে না, তারাই ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। তিনি স্কুল, হাসপাতাল, এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য ভোটপ্রার্থনা করবেন।
মঙ্গলবার দেব বলেন, ‘‘হিরণ এবং তাঁর দল যত বেশি আক্রমণ করবে, তত ভোটে জিতব। ভাল মানুষের সঙ্গে সব সময় ভাল মানুষ যুক্ত থাকেন। ঘাটালে দিনরাত ঝড়বৃষ্টির মধ্যে মানুষ যে ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, ভালবাসা জানাচ্ছেন আমাদের জেতানোর জন্য, তা বলার নয়। কেউ বলছেন দুই লক্ষ তো কেউ বলছেন তিন লক্ষ ভোটে জিতব। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানুষকে ফাঁসানো যাবে না। মানুষকে আটকানো যাবে না।’’ দেবের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেঘিরে তীব্র কটাক্ষের তীর ছুড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, ‘‘গত ১০ বছর ধরে সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন ওখানকার সাংসদ। ওই আই লভ ইউ আর চলবে না।’’ শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে দেব বলেছিলেন, ‘‘ওই মানুষটি আমাকে ২০১৪ সালে এলাকা ঘুরিয়েছিলেন। আজ যেমন হিরণকে নিয়ে ঘুরছেন। আমার নির্বাচনে ফান্ডও করেছেন। আমি আজ লোকটাকে দেখে চিনতেই পারব না, এটা হয় না।’’