শ্লীলতাহানির অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান হলেন গ্রেফতার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাতে ভোটের কাজ সেরে ফেরার পথে এক মহিলার শ্লীলতাহানি করেন। ওই অভিযুক্ত জওয়ানকে চিৎপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত রবিবার রাত আড়াইটে নাগাদ ওই জওয়ান ভোটের কাজ সেরে বারুইপুর থেকে ফিরছিলেন। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আর সেই অবস্থায় তিনি বিটি রোডের পাইকপাড়া এলাকায় এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়েন। মহিলার দাবি, ওই জওয়ান বাড়িতে ঢুকে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এবং জওয়ানের এহেন কাণ্ডে ওই মহিলা চিৎকার করে শুরু করেন।
তখন সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে খবর দেন পুলিশকে। খবর পাওয়া মাত্র তৎক্ষণাৎ সেখানে চিৎপুর থানার পুলিশ পৌঁছে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জওয়ানকে গ্রেফতার করে। চিৎপুর থানার পুলিশ বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। এই প্রথম নয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানের বিরুদ্ধে লোকসভার ভোট চলাকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় তফসিলি জনজাতির এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা ওই অভিযুক্ত জওয়ানকে আটক করে তাকে হেফাজতে নিয়েছিলেন।
ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘‘ডেবরায় সিআরপিএফের বিরুদ্ধে একটি বাড়িতে ঢুকে এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। যাঁরা আমাদের রক্ষক, যাঁরা ভোটটা করাবেন, সেই চৌকিদারদের বিরুদ্ধেই যদি শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে, তবে আমরা কোথায় আছি!’’ ওই জওয়ান জল খাওয়ার নাম করে বাড়িতে ঢুকে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন বলেই অভিযোগ করেছিলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডেবরার ১২৯ নম্বর চকসাহাপুর বুথে লোধা সম্প্রদায়ের ওই বধূ। গোটা এলাকাবাসী ওই মহিলার অভিযোগের পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং তার সঙ্গীদের ঘিরে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ডেবরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে আটক করে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর আধিকারিকদের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই জওয়ানের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় সার্ভিস আর্মস।