আজ থেকে গোটা দেশে জারি হলো ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-সহ নতুন তিন ফৌজদারি আইন। ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ অর্থাৎ ফৌজদারি বিধির পরিবর্তে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ অর্থাৎ ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের পরিবর্তে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’ প্রভৃতি এই তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন কার্যকর হয়েছে সোমবার থেকে। আইনে পরিবর্তন এলেও এই নতুন আইনে কী কী অপরাধ এবং তার শাস্তি হিসাবে কী বলা হয়েছে, সেই বিষয়ে অনেকেই ধন্দে আছেন।
বিরোধী দলগুলিও এই নতুন তিন আইনের বিরুদ্ধে একাধিক আপত্তি তুলে ধরেছে। আর এসবের মাঝেই নতুন ফৌজদারি আইনের আওতায় দায়ের হলো প্রথম এফআইআর। নতুন আইন কার্যকর হতে না হতেই দিল্লির এক হকারের বিরুদ্ধে নতুন ফৌজদারি আইনের আওতায় প্রথম এফআইআর দায়ের হলো। জানা গেছে যে, ওই অভিযুক্ত হকারের নাম পঙ্কজ কুমার। তিনি বিহারের পটনার বাসিন্দা। সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের কাছে রাস্তা ঘিরে ব্যবসা চালানোর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে নতুন ফৌজদারি আইনের ২৮৫ ধারার অধীনে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে।
চলুন জেনে নিই ২৮৫ ধারা কী? আসলে এই ধারা অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি তার দখলে থাকা সম্পত্তির মাধ্যমে অন্যের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করেন অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির বিপদ, বাধা বা আঘাতের কারণ হন, সেক্ষেত্রে তাঁকে শাস্তিস্বরূপ জরিমানা দিতে হয়। এই জরিমানার পরিমাণ সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি পুলিশ গত রবিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের কাছের একটি রাস্তায় ওই হকারকে জলের বোতল এবং গুটখা বিক্রি করতে দেখে। ওই অস্থায়ী দোকানটি মানুষের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করছে বলে ওই দোকানদারকে সেটি সরিয়ে নিতে বলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ, কিন্তু ওই দোকানদার রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। দিল্লি পুলিশের এসআই ‘ই-প্রমাণ অ্যাপ্লিকেশন’ ব্যবহার করে গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করেন। তারপরই এফআইআর দায়ের করা হয় বলে জানানো হয়েছে।