আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে চারিদিকে চলছে বিক্ষোভ, মিছিল। হাসপাতালের ডাক্তাররা কাজ বন্ধ করেছেন। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বুধবার মধ্যরাতে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মেয়েরা নেমেছিলেন পথে। বুধবার মেয়েদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচির মাঝেই আরজি কর হাসপাতালে হামলার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে ভাঙচুর করা হয় চিকিৎসার সরঞ্জাম, আসবাবপত্র। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ জানিয়েছে যে, আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হলে যেখানে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে সেখানে হামলাকারীরা পৌঁছতে পারেননি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ২৪ জন। রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয় যে, বাগুইআটিতে মেয়েদের ‘রাত দখলের’ কর্মসূচিতে বুধবার কর্তব্যরত অবস্থায় জখম হয়েছেন মহিলা পুলিশ কর্মী। রাজ্য পুলিশের করা ওই পোস্টে জানানো হয় যে, বাগুইআটিতে ‘রাত দখলের’ সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ভিড় থেকে ছোড়া ইটে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের মহিলা কনস্টেবল শম্পা প্রামাণিক আক্রান্ত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে যে, শম্পা বুধবার রাতে বাগুইআটিতে নিজের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। রাতে যারা রাস্তায় হাঁটছিলেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল শম্পার উপর। জমায়েতের মধ্যে থেকেই বিনা প্ররোচনায় ইট ছোড়া হয় এবং তা শম্পার মুখে এসে লাগে। রাজ্য পুলিশের তরফে ওই মহিলা কনস্টেবলের ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে প্রশ্ন করা হয়, “পুলিশকে কেনো নিজের কর্মক্ষেত্রে আক্রান্ত হতে হবে? রাতটা কি শম্পারও ছিল না?’’