তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে লোডশেডিং আর তার জেরেই জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠছে, সেই অতিষ্ঠ নাজেহাল হয়ে ওঠার তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত সোমবার তাঁকে দেখা গিয়েছে বিদ্যুৎ ভবনে।মূলত সবটুকুরই লক্ষ্য আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যে এই বিকট গরমের মধ্যে যেভাবে লোডশেডিং চলছে তা নিয়ে তিনি কথা বলতে গিয়েছিলেন বিদ্যুৎ ভবনে কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয় এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাঁকে যেতে হবে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের দপ্তরে। সেই কথামতো তিনি সেখানে গিয়েওছিলেন কিন্তু লাভ হয়নি।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের দপ্তর থেকে বেরিয়ে এসে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন যেখানে তিনি জানান সিএমডি বাথরুমে ঢুকে বসেছিলেন যা অত্যন্ত লজ্জার একটি বিষয়। এমনকি তিনি জানান আগামী দিনে জনগণও রাস্তায় নামতে চলেছে কারণ এই গরমে যেখানে লোডশেডিংয়ের দাপট বাড়ছে প্রতিদিন রাতে দু তিন ঘন্টা করে লোডশেডিং চলার ফলে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এ সম্পর্কে বিদ্যুৎ দপ্তরে ইঞ্জিনিয়াররা জানান বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতেই এহেন লোডশেডিংয়ের পন্থা অবলম্বন করছেন। এ প্রসঙ্গে অবশ্য তিনি তীব্র আক্রমণ করেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে। তিনি বলেন এ সরকার ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করে চলেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার একটাও নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে পারেননি পরিবর্তে ব্যান্ডেল এবং কোলাঘাটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করেছে তবে তৃণমূলের মুখপাত্র বিশ্বজিৎ দেব বিজেপি নেতার শুভেন্দু অধিকারীর এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দায়িত্ব নেবার পর থেকে লোডশেডিং সম্পর্কে ধারণা বদলে গিয়েছে মানুষের। সি এস সির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অভিজিৎ ঘোষ চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান, মানুষের এত লাগাম ছাড়া এসি লাগানোই হচ্ছে এর মূল কারণ বেশিরভাগ লোকই সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না সিএসসির কাছে। যে কারণে অনেক এলাকার লোড সম্পর্কে সিএস সির কাছে কোন সুস্পষ্ট ধারণাই থাকছেনা যার ফলেই এহেন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে মানুষকে। পরিস্থিতি এমনই চললে মানুষের দুর্ভোগ আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।