বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মৃত্যু হল কলকাতার এক চিকিৎসকের। থাইল্যান্ডের এক মহিলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সোমবার রাতে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি বহুতলে গিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। মদ্যপান করে বাড়ি ফেরার সময় ওই চিকিৎসক দেখেন বহুতলের মূল দরজা তালা বন্ধ করা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত হয়ে কি আটকে কাকে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কি আর্টিকেল ফোন না ধরায় বহুতলের কার্নিশ বেয়ে নিচে নামটি গিয়ে পাঁচ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের।
চিকিৎসকের নাম শুভঙ্কর চক্রবর্তী। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোট ৩ টে ১৫ মিনিট নাগাদ ওই বহুতলের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় চিকিৎসককে। সঙ্গে সঙ্গে এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ওই বান্ধবীকে। পরে তদন্তে নেবে সোমবার রাতের ঘটনা জানতে পারে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছেন, ফেসবুকে থাইল্যান্ডের ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল চিকিৎসকের। গত ৩০ মে নেপাল ঘুরে ভারতে আসেন চিকিৎসকের ওই বান্ধবী। প্রগতি ময়দান থালা এলাকায় ওই বহু তলে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন ওই বান্ধবী। সোমবার রাত দশটা নাগাদ বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক। বাড়ি ফেরার সময় বহু দলের মূল দরজা বন্ধ থাকায় কার্নিশ বেয়ে নিচে নাবতে গিয়ে হঠাৎ করেই পড়ে যান তিনি
ঘটনাই ওই বহুতলের কেয়ারটেকারের মা বলেন, আমার মেয়ে জামাই এখানে থাকে। মেয়ের কাছ থেকে খবর পাই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চিকিৎসক এবং বান্ধবী দুজনেই এখানে থাকেন। ওই চিকিৎসকের বাড়ি সল্টলেকে। আমরা ওনাদের স্বামী স্ত্রী জানতাম। আজকে জানতে পারলাম চিকিৎসকের স্ত্রী সন্তান সল্টলেকের বাড়িতে থাকেন।