আজকাল টলিপাড়াতে একের পর এক বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সম্প্রতি যীশু সেনগুপ্ত এবং তার স্ত্রী নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে আসার পরই ফের এখন নেটপাড়ার ঋষি কৌশিক ও দেবযানী চক্রবর্তীর বিচ্ছেদের জল্পনা রয়েছে আলোচনার কেন্দ্রে। ১২ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের। স্ত্রী দেবযানী চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনেতার যে বিস্তর ফারাক রয়েছে সেই কথা তিনি বিয়ের আগেই বুঝেছিলেন। আর বিয়ের পর সেই ফারাক ক্রমাগত বাড়ে। স্ত্রীর নাম না করেই পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেছিলেন অভিনেতা ঋষি।
তিনি তার একটি ভিডিয়োয় স্ত্রীর নাম না করে তার জীবনযাপন নিয়ে বলেছিলেন, “ধূমপান, মদ্যপান, রাত্রে পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, একেই কি বলে আধুনিকা নারী!” সেই ভিডিওতে তিনি মানসিক অসুস্থতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘ছেলেটির স্ত্রী নাকি অনেককেই বলে বেড়ান ছেলেটির মানসিক সমস্যা রয়েছে।’ এরপর এর পাল্টা জবাবে সংবাদমাধ্যমে তার স্ত্রী দেবযানী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেছিলেন, কিন্তু তারপরেও অভিনেতাবেশ কয়েকটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন। ঋষি গত রবিবার রাতে ফের একটি পোস্টে প্রশ্ন করেন, যারা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন, তারা কি মানসিক ভাবে অসুস্থ?
ঋষি তার পোস্টে লেখেন, “একজন মানুষ ভীষণ ভাবে নিজ ধর্মে বিশ্বাস করে। সেই সঙ্গে মানুষটি সব ধর্মকেই খুব শ্রদ্ধা করে। মানুষটি যদি অন্য কোনও ধর্মের কিছু পবিত্র বাণী ইন্টারনেট ব্যবহার করে পড়েন, তবে তাঁকে কি মানসিক রোগী বলা উচিত? যাঁরা বলেন তাঁরা কি নিজেরা আদৌ মানসিক ভাবে সুস্থ? না কি অন্য ধর্মের পবিত্র বাণী পড়া বা জানা পাপ? আর কেউ যদি পড়ে সে কি মানসিক ভাবে অসুস্থ? তোমাদের কী মনে হয়? সকল ধর্মের সকল মানুষের জন্য রইল আমার অশেষ শ্রদ্ধা।” প্রথম পোস্টের মানসিক অসুস্থতার কথা বলার পর ফের এই পোস্টে উঠে এল মানসিক অসুস্থতার কথা। এখন দেখার বিষয় জল কতদূর গড়ায়।