ভেঙে চুরে গেছে কামরাগুলো, চারিদিকে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে খেলনা ট্রেনের মত তিনটি ট্রেন। ঘটনাটি উড়িষ্যার বালেশ্বরের। এই দুর্ঘটনায় হতাহত। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আহত প্রায় ৯০০ এর অধিক। চারিদিকে হাহাকার। এইরকম অবস্থাতে কবে আবার দক্ষিণ ভারতগামী ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে সেটা নিয়ে উঠেছে যথেষ্ট প্রশ্ন।
রেলের তরফ থেকে এখনই এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। রেলের উদ্ধার সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যারা তাদের অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত সময় লাগবে এই ধ্বংসস্তূপ সরাতে। সোমবারের আগে এই কাজ হবে না। সুতরাং স্বাভাবিক হতে হতে ট্রেন পরিষেবা এখনো মঙ্গলবার ধরে রাখা যায়।
এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানিয়েছেন, ট্রেন পরিষেবা আবার কবে শুরু হবে সে বিষয়ে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তারা হতাহতদের উদ্ধার করাটাকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ট্রেনের কামরা একটার গায়ে একটা উঠে পড়েছে। কোনোটা আবার উল্টে গেছে। কামরাগুলো উপরের দিকে। মালগাড়ির ওপরে উঠে পড়েছে একটা আস্ত ইঞ্জিন। রেল লাইন বলতে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। সিমেন্টের স্লিপার গুলি একদম ভেঙেচুরে চুরমার। লোহার রড গুলি বেরিয়ে গেছে। উপড়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। গোটা রেললাইন জুড়ে মৃতদেহ সাজানো সাদা কাপড়ে ঢাকা, চারিদিকে মৃত্যুর হাতছানি।
এইরকম অবস্থা থেকে আবার স্বাভাবিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট অপেক্ষা করতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে। এই ধ্বংসস্তূপ সরাতে এখনো প্রায় ৪৮ ঘন্টা সময় লাগবে। এই ঘটনার পরবর্তীকালে শনিবার এই রুট দিয়ে যাওয়া অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।