কয়েকদিন আগেই হাথরসে ঘটেছে এক মর্মান্তিক কান্ড। মারা গেছেন ১২১ জনেরও বেশি মানুষ। হাথরস কান্ড নিয়ে চলছে পুলিশী তদন্ত। একে একে উঠে আসছে নানান রকমের চমকপ্রদ তথ্য। আর এবার উঠে এলো আরেক ধরনের তথ্য, যা শুনলে আপনি চমকে যাবেন। হাথরসে আয়োজিত সৎসঙ্গে স্বঘোষিত গুরু ‘ভোলে বাবা’র ভূমিকা নিয়ে ওঠা একের পর এক প্রশ্নের মাঝে একটি পাল্টা তত্ত্ব খাড়া করেছেন তার আইনজীবী এপি সিং। তার দাবি, বাবার পায়ের মাটি সংগ্রহের জন্য নয়, সৎসঙ্গের ওই অনুষ্ঠানে বিপর্যয় ঘটে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতীর জন্য। তারা সেই দিন পরিচয় গোপন করে সৎসঙ্গের ওই অনুষ্ঠানে ঢুকে ভিড়ের মধ্যে বিষ ছড়িয়ে দিয়েছিল। তাতেই সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা।
হাথরসে ভোলে বাবার সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে ভক্তদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর থেকেই নিরুদ্দেশ হয়েছে ওই স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু ‘ভোলে বাবা’। তিনি আড়াল থেকেই ভক্তদের মৃত্যু নিয়ে সম্প্রতি তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। গত শনিবার ‘ভোলে বাবা’ ওরফে নারায়ণ সাকার হরি বলেন, ‘‘ওই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তারা কেউ পার পাবে না।’’ এরপরই রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে স্বঘোষিত ভোলে বাবার আইনজীবী এপি সিং জানান যে, ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী হাথরসের ঘটনার জন্য দায়ী। তারাই ষড়যন্ত্র করে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। এপি সিং আরো বলেন যে, এই ষড়যন্ত্রে ১৫ থেকে ১৬ জন যুক্ত ছিল, যারা ওই অনুষ্ঠানে থাকার অনুমতিপত্রও জোগাড় করেছিল।
প্রতিটি অনুমতিপত্রের সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলের একটি করে ছোট মানচিত্র দেওয়া হয়েছিল। আর ওই মানচিত্রই ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে বিষয়টি সহজ করে দিয়েছিল। ওই ঘটনার দিন অনুষ্ঠানস্থলে বেশ কিছু গাড়ি ঢুকেছিল। অনুষ্ঠানে ১০ থেকে ১২ জন ভিড়ের মধ্যে বিষ ছড়িয়ে দে, যার জেরে কয়েক জন মহিলা অসুস্থ হয়ে সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ওই সময় কারো কারো শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাও হচ্ছিল। অনকেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘটনাস্থলে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। আর তারপর ওই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। এমনকি তিনি, বিশেষ তদন্তকারী দল এবং হাথরসের পুলিশ সুপারকে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য অনুষ্ঠানস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করার কথাও বলেছেন, যাতে ওই গাড়িগুলিকে চিহ্নিত করা যায়।