প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দিল্লিতে ভোটের দিন গেলেন প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে এবং সেখানে সঙ্গমঘাটে ডুব দেন। এমনকি কুম্ভস্নানের আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে করেন নৌকাবিহার। এদিন প্রধানমন্ত্রীর পরনে ছিল গাঢ় গেরুয়া জ্যাকেট এবং কালো ট্র্যাকপ্যান্ট। তার হাতে ছিল রুদ্রাক্ষের মালা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মোদীর আগে মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান সেরে গেছেন। আর তার দুইদিন পরেই মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের মৃত্যুর ঘটে।
এই ঘটনায় মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনায় যোগী প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই বিষয়ে বিরোধীরা গত সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে সরব হন। আর এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর মহাকুম্ভ সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। কুম্ভস্নানের আগে দিল্লির ভোটারদের উদ্দেশে বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘গণতন্ত্রের এই উৎসবে উৎসাহ নিয়ে অংশগ্রহণ করুন এবং নিজেদের ভোট দিন।’’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার, দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের দিন প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে প্রধানমন্ত্রীর পুণ্যস্নানের দিন স্থির হওয়া নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিরোধীরা বলেন যে, দিল্লিতে ভোটের দিনে প্রধানমন্ত্রীর মানুষের মহাকুম্ভস্নানে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে রাজনীতি। মোদী হিন্দুত্বের বার্তা দিয়ে ভোটারদের মনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেই ভোটের দিনে কুম্ভস্নানে গেছেন বলে মনে করছেন বিরোধীপক্ষ।