শেষ হলো ‘বিগ বস ১৭’। এবার খেলা শেষ করে বাড়ি ফিরছেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখন্ডে। তবে, বৌমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বন্যা বয়েই চলেছে অঙ্কিতার শাশুড়ির। আসলে ‘বিগ বস’-এর ঘরে ভিকি-অঙ্কিতার কেচ্ছা নিয়ে নিন্দে-সমালোচনার অন্ত ছিল না। স্ত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডেকে চড় মারার অভিযোগও উঠেছিল ভিকি জৈনের বিরুদ্ধে। ব্যাস তারপর থেকেই মন কষাকষি শুরু এই দম্পতির মধ্যে। পরিস্থিতি এমনই মোড় নেয় যে তাঁদের মায়েরাও একে-অপরকে দোষারোপ করা শুরু করেছিলেন।
টেলিভিশনের পর্দায় এই রিয়্যালিটি শোয়ে ভিকি-অঙ্কিতার দাম্পত্য জীবন যেন নগ্ন হয়ে ধরা দিয়েছে বার বার। ‘বিগ বস’-এর শো চলাকালীন ঘরে প্রবেশ করেন অভিনেত্রীর শাশুড়ি রঞ্জনা জৈন। নিজের ছেলের প্রতি বৌমার আচরণ মোটেও মেনে নেননি তিনি। অঙ্কিতাকে বিয়ের আগে ছেলেকে সাবধানও করেছিলেন তিনি, তা-ও তিনি শোয়ে জানিয়েছিলেন। এমনটা মনে করা হয়েছিল যে, ফাইনালের দিন সব ভুলে অঙ্কিতার পক্ষ নেবেন তাঁর শাশুড়িমা, তবে তিনি তো রয়েছেন নিজের ছন্দে।
সলমন খানের সামনেই ভিকির মা বলেন, ‘‘অঙ্কিতা, আমি চাইব তুমি আর কখনও এমন কোনো শোয়ে অংশ নিও না যেখানে পরিবারের মানসম্মান মাটিতে মিশে যায়।’’ এরপর এই মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দিলেন অঙ্কিতার স্বামী। তবে, অঙ্কিতার ভাগ্য সঙ্গ দিল না। সংসার-দাম্পত্য বাজি রেখেও ‘বিগ বস’ বিজয়ীর মুকুট পরতে পারলেন না তিনি। স্বামী ভিকি জৈনের সঙ্গে ঝগড়া, কথায় কথায় প্রয়াত প্রাক্তন সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এসে সমবেদনা পাওয়ার আকুল চেষ্টা, এই সবকিছুই তাঁকে পারলো না জেতাতে।
তীরে এসে তরী ডুবেছে অঙ্কিতার। শোয়ের শেষপাতে ‘বিগ বস’-এর ঘর থেকে চোখে জল নিয়ে বেরতে হলো তাঁকে। স্বামী-শাশুড়ি নয়, এই দুঃসময়ে পাশে পেলেন একমাত্র নিজের মাকে। অভিনেত্রী বহিষ্কৃত হতেই চোখে জল তাঁর স্বামীর। যদিও শোয়ে থাকাকালীন একে অপরের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, কটু কথা, অপমান, এমনকি বিবাহবিচ্ছেদের হুমকি দিয়ে এসেছেন, তবে স্ত্রী বাড়ি ফিরতেই ভিকি লেখেন, ‘‘অঙ্কিতা, তুমি লোখন্ডে এবং জৈনদের গর্বিত করেছ। তুমি এই খেলাটা যে ভাবে খেললে সেটার জন্যই হোক বা তোমার হার না মানার জেদ, প্রতিটা জিনিসেই তুমি তোমার মতো সেরা ছিলে। আমার বিশ্বাস, তোমার ভক্ত থেকে বন্ধুবান্ধব সকলেই তোমাকে নিয়ে গর্বিত।’’
তবে যাই হোক না কেনো, অঙ্কিতা তাঁর হার মেনে নিতে পারেননি। মুখে তিনি যতই বিষয়টিকে ‘স্পোর্টিংলি’ নেওয়ার কথা বলুন, আসলে মনে মনে অঙ্কিতা ক্ষুব্ধ ছিলেন। ‘বিগ বস’-এর ঘর থেকে বের হতেই কেঁদে ভাসালেন অঙ্কিতা লোখান্ডে।