ফের খবরের শিরোনামে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ইতিমধ্যেই একজন সেলিব্রিটি থেকে কোন অংশে কম যান না, শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় একের পর এক যে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রস্তুত করেছিলেন যা দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সমাজের প্রতি তাঁর দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন বিচারের আশায় বসে থাকা মানুষগুলোর জন্য বিভিন্ন সময় কাজ করে গেছেন। তাঁরা সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছেন। শুধুমাত্র এই মানুষটির জন্য তা সম্ভবহয়েছে।
এবারে তিনি কোন মামলায় রায়দান করতে গিয়ে চর্চিত হননি এবারে চর্চিত হয়েছেন বছরের সবথেকে সুন্দর সন্ধ্যায় পুরস্কার তুলে দেওয়ার জন্য। অনুষ্ঠানটি ছিল বেস্ট সন্ধ্যায় বেস্ট সম্মান ২০২২। যেখানে প্রথম স্বীকৃতি পেলেন ঝাড় গ্রামের একজন শিক্ষক। সেখানকার বেসরকারি নার্সারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাম তিমির মল্লিক। তাঁকে সম্মানিত করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে যিনি সম্মানিত হলেন অর্থাৎ তিমির মল্লিক আজ তার সম্পর্কে দু চার কথা জেনে নেওয়ার দরকার। তিমির মল্লিক হলেন ঝাড়গ্রামের একটি বেসরকারি নার্সারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ২০২০ -২১ অর্থাৎ করোনাকালে যে সময়টা আমরা ঘরবন্দি, বলা যায় সারা পৃথিবী ঘর বন্দী সেই সময়ও তিনি আশাহত হননি। বাঁচার লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি খুলে বসেন চপ আর মিষ্টির দোকান এবং একে একে তাতে যোগ দেয় তাঁর শিক্ষা কর্মীরাও। তাই দিয়েই তাদের ১৫ জন শিক্ষক ও ৬ জন শিক্ষাকর্মীর সংসার চলতো।
বর্তমানে সেই ব্যবসা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর, কমার্সের ছাত্রছাত্রী তিনি দীর্ঘদিন পড়ান। এমনকি তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা আজ বিভিন্ন বড় বড় ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে। এদিন আনন্দবাজার অনলাইনের এই অনুষ্ঠানে তাঁকে এহেনে সম্মানে সম্মানিত করায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন আনন্দবাজার অনলাইনকে। এটা তাঁর জন্য সত্যি এক বড় প্রাপ্তি এবং আগামী দিনে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা।