কয়েক দিন আগে ছত্তীসগঢ়ের ভিলাইয়ের রুংটা আর দুটি কলেজে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন জনপ্রিয় গায়ক উদিত নারায়নের পুত্র আদিত্য নারায়ণ। সেখানে গান গাইতে গাইতে আচমকাই মেজাজ হারিয়ে বসেন তিনি। এক অনুরাগীরহাত থেকে ফোন ছুড়ে ফেলে দেন, মাইক দিয়ে কষিয়ে দিঘা বসিয়ে দেন ওই অনুরাগীকে। অনুষ্ঠান চলাকালীন উদিত নারায়ণের পুত্রের এমন কাণ্ড দেখে সেখানে হৈহৈ পড়ে যায়।
সবাই বিষয়টি নিয়ে বেশ নিন্দা করেন। আদিত্যের হয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা শেষপর্যন্ত সাফাই দিলেন। আজকাল মুঠোফোনের ক্যামেরার সামনেই শিল্পীদের অনুষ্ঠানে সর্বক্ষণই থাকতে হয়, কিন্তু তাতে হঠাৎ করে এমন মাথাগরম করে ফোন ছুড়ে ফেলার কারণ কী ছিল, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে, শেষপর্যন্ত আদিত্যের হয়ে আয়োজকেরা জানান, ওই ঘটনায় সম্পূর্ণ দোষ ছিল ওই অনুরাগীর।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা বলেন, ওই যুবকটি তাদের কলেজের ছাত্র নয়, কলেজের বাইরের কেউ। যুবকটি অনুষ্ঠান চলাকালীন অনবরত আদিত্যর পা ধরে টানছিলেন। এরপর একসময় আদিত্য খুব বিরক্ত হয়ে যান। আদিত্যর পা টেনে ধরার পাশাপাশি হাতের ফোনটি নিয়ে একাধিক বার পায়ে ঠুকেও দেন। ব্যাস তার ঠিক পরই আদিত্য মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। ওই ছেলেটির যদি কোনো ভুল না থাকতো, তাহলে নিশ্চয়ই সে এগিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাত।
এই ঘটনার পর অনুষ্ঠানটি আরো দুই ঘণ্টা ধরে চলেছিল। এই ঘটনার পরেও আদিত্য, ছাত্রদের সঙ্গে অন্তত ২০০টি নিজস্বী তুলেছিলেন। উদিত নারায়নের পুত্র আদিত্য নারায়নের মেজাজ হারানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়, কারণ কয়েক বছর আগে ছত্তীসগঢ় বিমানবন্দরে আদিত্য, এক বিমানকর্মীকে হুমকি দিয়েছিলেন। যাইহোক, এইদিন কলেজের এই একটি ঘটনা ছাড়া গোটা অনুষ্ঠানটি বেশ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে জুম এন্টারটেইনমেন্টের কাছে খুবই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আদিত্য নারায়ণ। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলছি, নো কমেন্টস। আমি ঈশ্বরের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। এটুকুই শুধু বলব’।