রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪
Homeলাইফস্টাইলহাসফাঁস গরমে আতঙ্ক বাড়ছে বার্ড ফ্লু-র, নিজের জন্য কী কী খেয়াল রাখবেন...

হাসফাঁস গরমে আতঙ্ক বাড়ছে বার্ড ফ্লু-র, নিজের জন্য কী কী খেয়াল রাখবেন হবু মায়েরা জেনে নিন

একদিকে ভ্যাপসা গরম আর তার মাঝে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে ভাইরাস যেনো থেকেই যায়। কিছুদিন আগেই করোনা আতঙ্কে দেশবাসী কাবু ছিল। আর সেই আতঙ্কের পালা শেষ হতে না হতেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বার্ড ফ্লু। মানুষের শরীরে অবলীলায় ঢুকে পড়ছে ভাইরাস। স্বাস্থ্য আধিকারিকেরাও এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না কখন কি হয়। এই কারণে এখন সতর্কতা অবলম্বন ছাড়া আরও কোনো পথ নেই। গরমের জ্বালাপোড়া, ভাইরাসের ভয় এই সবকিছু মিলিয়ে যা তা দশা মানুষের। এহেন পরিস্থিতিতে অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। আসলে এমন অনেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আছেন, যাদের পেশাগত কারণে রোজ বাইরে বের হতে হয়। রোজ বসে ট্রেনে যাতায়াত করতে হয় এবং বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। তাই চিকিৎসকেরা হবু মায়েদের শরীরের বিশেষ যত্ন নিতে বলছেন। কী কী সতর্কতা নিতে হবে জেনে নিন।

জলশূন্যতা থেকে বাঁচতে জল খেতে হবে

এই প্রচণ্ড গরমে শরীরে দেখা দেয় জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায় এবং লবণের ঘাটতি হয়। তাই অন্তঃসত্ত্বাদের বেশি করে জল খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দিনে ৫ থেকে ৬ লিটার জল খেয়ে ফেলা ঠিক নয়। এক জন গর্ভবতী মায়ের দিনে ২ থেকে ২.৫ লিটার জল খাওয়া উচিত। তবে যারা পরিশ্রম বেশি করেন, দিনভর এসিতে থাকেন, তাদর জল একটু বেশিই খেতে হবে বলেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

লবণের ঘাটতি মেটাতে কী করণীয়?

গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায় এবং লবণের ঘাটতি হয়। তাই জল আর লবণের অনুপাত ঠিক রাখতে হলে রোজ লেবু, চিনি দিয়ে জল খাওয়া প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ওআরএস খেতে হবে। এছাড়া, মুসাম্বি, কমলালেবুর রস খাওয়া যেতে পারে। এমনকি ফলের রস করার সময় না থাকলে মুসাম্বি বা কমলা চিবিয়েই খেয়ে নিন, তাতেও পাবেন উপকার। সেটাও হাতের কাছে না থাকলে ওআরএস খাওয়া ভাল। তবে

প্রস্রাবের রং খেয়াল রাখুন

চিকিৎসক মল্লিনাথের মতে প্রস্রাবের রং হলুদ হলে বুঝতে হবে, শরীরে জলের অভাব রয়েছে। এমনকি, শরীরে জলের ঘাটতি হলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময়ে জ্বালা বোধ হয়। তাই সেই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

বার্ড ফ্লু প্রতিরোধে

পশ্চিমবঙ্গেও এইচ৯এন২ ভাইরাসের প্রজাতি ঢুকে পড়েছে। তাই লোকজনের মনে ভয় চেপে বসেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছোঁয়াচে। বার্ড ফ্লু আসলে এক রকম ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করতে পারে। যদিও বার্ড ফ্লু ভাইরাস খুব বেশি মানুষের শরীরে ছড়িয়েছে বলে শোনা যায়নি, তবুও সতর্ক থাকা জরুরি সকলের, আর বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বাদের বাইরে বেরোলে মাস্ক পড়তেও এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

খাওয়াদাওয়ায় নজর দিতে হবে

বার্ড ফ্লু-র কারণে ডিম, মুরগির মাংস একটু কমই খেতে বলছেন চিকিৎসকেরা। গর্ভবতীদের এই সময়টিতে ডিম বা মুরগির মাংস কম খাওয়া বা না খাওয়াই উচিত। এমনিতেও গর্ভাবস্থায় প্রোটিন বেশিই খেতে বলা হয়। তাই যদি ডিম বা মুরগির মাংস না খান, তা হলে তার বদলে খেতে পারেন দুধ, ছানা, পনির, সয়াবিন, ছোলা। এতেও সমান উপকার হবে।

পর্যাপ্ত ঘুম

শরীর ঠিক রাখতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। দুপুরে আধ ঘণ্টা বিশ্রাম নিতেই হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সকালে ও সন্ধ্যায় হালকা ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments