রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ, অবশেষে পুলিশের হাতে বাধা প্রাপ্ত হলেন সিপিএম নেতা। বলা চলে এক বড়সড় ধাক্কা সিপিএম এবং কংগ্রেসের জন্য। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ইতিমধ্যেই কোচবিহার সফরে গেছেন। তার আগে তিনি জানিয়েছিলেন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনো রকম কোনো হিংসাত্মক ঘটনা সম্পর্কে কারও অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি যেন তাঁর কাছে এসে বলেন।
তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন পদক্ষেপ নেওয়ারও, চাইলে তাঁর যাত্রাপথে কেউ গাড়ি দাঁড় করিয়েও অভিযোগ জানাতে পারেন। এমনই খোলাখুলি বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেইমতো শনিবার উপস্থিত হয়েছিলেন কংগ্রেস এবং সিপিএম প্রতিনিধিত্বের দল। তবে উপস্থিতিই সার। রাজ্যপালের গাড়ির পিছনে দৌড়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে ব্যর্থ হলেন তাঁরা। অবশ্য সিপিএম এবং কংগ্রেস প্রতিনিধিদের দাবি রাজ্যপাল তাঁদের কথা শুনতে চাইলেও তাঁকে শুনতে দেননি পুলিশ। শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলেই এহেন কান্ড সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রলোক দাস। রাজ্যপালের গাড়ি থামিয়ে অভিযোগ করছিলেন শুভ্র। শাসকদলের বিরুদ্ধে রীতিমতো অভিযোগ বললেই পুলিশের ধাক্কা খেতে হয়।যার জেরে তিনি ক্ষোভ উগরে দেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন প্রশাসন বাধা দিচ্ছে তাঁকে। দিনহাটা এক এবং দিনহাটা দুই ব্লকে তৃণমূল যেভাবে তান্ডব লীলা চালাচ্ছে তা রাজ্যপালের কাজ অব্দি যাতে পৌঁছতে না পারে। তার জেরেই পুলিশের এই পদক্ষেপ বলে তাদের অভিযোগ। তবে দিনহাটা সফরে গিয়ে রাজ্যপাল সাক্ষাৎ করেছেন মৃত আহত বিজেপি কর্মীদের পরিবার বর্গদের সঙ্গে। সমস্ত ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ শোনেন এবং মৃতদের ছবিতে মাল্য দানও করেন অর্থাৎ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েই তাঁর এই সফর যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।