গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে নড়েচড়ে বসেছে সকলেই। কি সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন? তাঁরা জানিয়েছেন এরপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারালো, যে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের ২রা সেপ্টেম্বর যেখানে কমিশন জানিয়েছিল স্বীকৃতি পাওয়ার অনেক আগে এই অর্থাৎ ২০১৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা পেয়ে গেছে। কিন্তু সেই জাতীয় দলের তকমা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে এবার সরিয়ে দিলেন নির্বাচন কমিশন এবং তার জন্য নানান তথ্য হাজির করেছেন তাঁরা।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যা দাঁড়ায় তাতে তখনো বাংলার তৃণমূল রাজ্য দলের মর্যাদায় আসীন। এরপর একে একে অরুনাচল বিধানসভায় (২০০৯ সালে ) এবং মনিপুর বিধানসভা নির্বাচন( ২০১২ সালে) ওই দুটি ভোটেরই ফলাফল যা দাঁড়ায় তাতে রাজ্য দলের মর্যাদা পায় তৃণমূল। পরবর্তী ক্ষেত্রে অবশ্য ত্রিপুরাতেও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলেও তৃণমূল মর্যাদা পায় রাজ্য দলের অর্থাৎ জাতীয় দলের তকমা পেতে যে শর্ত পূরণের দরকার ছিল অর্থাৎ চারটি প্রদেশের রাজ্য দলের মর্যাদা পাওয়া সেই শর্ত পূরণ করে ফেলে তাঁরা।
তবে কমিশনের চিঠির তৃতীয় অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে ২০১৪ সালে যে লোকসভা নির্বাচন হয় তাতে তৃণমূল বাংলার ৩৪টি আসনে জিতলেও মনিপুর ত্রিপুরা অরুনাচল প্রদেশে একটি আসনও পায়নি শুধুমাত্র ২০১৪ সাল থেকে তৃণমূল দলকে জাতীয় দলের তকমা দেয়া হয়ে গিয়েছে তাই আর নতুন করে কোন বদল আনা হয়নি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তথ্য ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত তথ্যই হাজির করেছেন নির্বাচন কমিশন। যার জেরে বলা যায় তৃণমূল সর্বস্ব খুইয়ে এক প্রকার কোনঠাসা হয়ে পড়ছে।