কয়েকদিন আগেই ঘটলো বালোচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ কাণ্ড। গত মঙ্গলবার বালোচ বিদ্রোহীরা বালোচিস্তানের বোলানে মাশকাফ সুড়ঙ্গে জাফর এক্সপ্রেস অপহরণ করেছিলেন। প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে পাক সেনার অভিযানের পর যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। পাক সেনার দাবি যে, ওই অভিযানে সব বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের পাল্টা দাবি এই যে, ওই সংঘর্ষে ৩০ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনার পরই বালোচ বিদ্রোহীদের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যে, পাক সেনা যদি তাদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তা হলে তাদের পরবর্তী নিশানা হবে ইসলামাবাদ। আর সেই হুঁশিয়ারির ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বালোচিস্তানে সেনার কনভয়ে ঘটলো হামলা। আসলে গত শনিবার ঘটলো পাকিস্তানের বালোচিস্তানে পাক সেনার কনভয়ে হামলা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, বালোচিস্তানে তুরবত শহরে সেনার কনভয়ে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর ফলে ওই কনভয়ে থাকা বেশ কয়েক জন সেনা আহত হয়েছেন।
এরপর তাদের ওই স্থান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। এদিকে গত শুক্রবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দক্ষিণে ওয়াজজিরিস্তানের একটি মসজিদে এক আত্মঘাতী হামলা হয়। ওই দিন দুপুরে আজম ওয়ারশাক বাইপাস রোডের মৌলানা আব্দুল আজিজ মসজিদে প্রার্থনার সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। ওই হামলার ঘটনার নেপথ্যে কোনো জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ মনে করছে যে, জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনার পর বালোচিস্তানের পাক সেনা কনভয়ে এহেন হামলায় বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির হাত রয়েছেন।