বুধবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলিতে বিদ্যুৎ বিভ্রান্ত হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য,” এক ডাকে অভিষেক” হেল্পলাইন নম্বরে সেখানকার বাসিন্দারা তাদের পরিস্থিতি জানিয়েছিলেন। ফোন পেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন অভিষেক। এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে।
অবশেষে বিদ্যুৎ মন্ত্রী দপ্তরে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক করা যায়। বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত বিষয়ে আবার বৈঠক হয় বিদ্যুৎ ভবনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুরেশ কুমার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার চেয়ারম্যান শান্তনু বসু এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কিছু কর্তারা।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রী অরূপের সঙ্গে আধিকারিকদের বৈঠক চলে। এই বৈঠকে উত্তরবঙ্গের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি যাতে তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক করা যায় সে বিষয়ে এবং আগামী দিনে ঝড় বৃষ্টির মরশুমে যাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখা হয় সে বিষয়ে কথাও তিনি বলেন। মন্ত্রী নির্দেশ দেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এবং সেই সময়ে যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিকঠাক ভাবে বজায় রাখা যায় সে বিষয়ে যেন কর্মীরা সতর্ক থাকেন।
এই কারণে ২৮ শে মার্চ পর্যন্ত বিদ্যুৎ দপ্তরের সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এই বৈঠকের পরে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ জানান যে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় ১৫ই মার্চ সন্ধ্যায় ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয় সেই সমস্ত এলাকাতে।
প্রায় ১০০টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে এবং ২৫০ টি জায়গায় লাইনে গাছ পড়ে ছিঁড়ে গেছে। এমনকি বজ্রপাতে ইনসুলেটর নষ্ট হয়ে গেছে বহু জায়গায়। এইরকম অবস্থাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য প্রায় ৩০০ বেশি বিদ্যুৎ কর্মী এবং অফিসার কাজে নেমেছেন।