যে মানুষটার জন্য আজ মেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে, তিনি হলেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর। দূর্গাপুজোর চতুর্থীতে ঈশ্বরচন্দ্রকে অস্ত্র করল দুই দল।
একদিকে যখন বিদ্যাসাগর কলেজে পৌঁছে প্রাণপুরুষের ভাঙ্গা মূর্তির খন্ডের সামনেই বিদ্যাসাগরকে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্যাসাগরের প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণাম জানান অমিত শাহ।
অনেকেই মনে করছেন, বিদ্যাসাগরকে ঠিক যখন হাতিয়ার করতে চেয়েছিল তৃণমূল ঠিক তখনই সেই প্ল্যান ভেস্তে দিল বিজেপি। কারো কারোর আবার দাবী, এই ধরনের তারিখে আগে থেকেই দলীয় নেতারা নিজেদের তৈরি করে রাখেন। কারণ এর আগে যেমন তৃণমূলের শীর্ষ নেতাকে বিদ্যাসাগর কলেজে হাজির হতে দেখা যায়নি তেমন অন্যদিকে অমিত শাহকে দেখা যায়নি প্রণাম জানাতে।
বোঝাই যাচ্ছে পুরোটাই রাজনৈতিক খেলা মাত্র। বৃহস্পতিবার নিউটনের হোটেল থেকে প্রথমে সন্তোষ মিত্র স্কয়ারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তারপর কালীঘাট মন্দির ঘুরে তিনি ইজেডসিসি তে যান বিদ্যাসাগরের পথিকৃতিকে শ্রদ্ধা জানাতে। যদিও লেবুতলা পার্ক থেকে বিদ্যাসাগর কলেজ পৌঁছাতে গাড়িতে ১০ মিনিট লাগলেও কেন অমিত শাহ বিদ্যাসাগর কলেজে এলেন না সেই নিয়ে তৈরি হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা।
