কলকাতার ফুটপাত জুড়ে, যে অরাজকতার ছবি আমরা এর আগেও দেখেছি সেই ছবি আরো একবার উঠে এলো সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে। গত এক মাস ধরে আদতে কোন প্রকার সুরাহা হয়নি। কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিমের গলাতেই শোনা গিয়েছিল বেআইনি লেনদেন বন্ধ করে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা অধরাই থেকে গেল। সামনে এলো আবারো সেই পুরনো ছবি যেখানে শ্যাম বাজারের ফুটপাত বিক্রির কান্ড এখনও রমরমিয়ে চলছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি যেদিন কাশীপুরের রতন বাবু রোডের এক বাসিন্দা যার নাম মনিকা জানা ওই মহিলা টক টু মেয়র নামের অনুষ্ঠানে ফোন করে জানান নিজের চরম পরিস্থিতির কথা। তিনি আজ ভীষণ অসহায়। বছর কয়েক আগেই শ্যাম বাজারের ভূপেন বসু এভিনিউয়ের ফুটপাতে একটি দোকান মাসিক ৫০০০ টাকায় ভাড়া নেন তিনি। সে দোকানটি ছিল পার্থ দাস নামের এক ব্যাক্তির। তিনি শ্যাম বাজারের কৃষ্ণরাম বসু স্ট্রিটে থাকতেন। এমনকি মনিকা দেবী জানান দোকানে নিরাপত্তা বাবদ তিনি ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন পার্থ দাসকে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পার্থবাবু মনিকা দেবীকে দোকানটি বিক্রিও করে দেন দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে। দুপক্ষ কোর্ট পেপার সইও করেন। সমস্ত কিছু প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পার্থ দাসের বাড়ির লোক বর্তমানে দোকানটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য মনিকা দেবীকে চাপ সৃষ্টি করছেন কারণ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পার্থ বাবু মারা যান। মনিকা দেবী সেই ফুটপাত বিক্রি করার কোর্ট পেপারও সবার সামনে এনেছেন। বর্তমানে ওই দোকানটি ভিকি দাস নামে এক যুবককে ভাড়া দেয়া হয় মাসিক পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে।
পার্থবাবুর স্ত্রী মঞ্জরি বসাক ও তাঁর দেড় বছরের ছেলের এতেই সংসার চলে কিন্তু অন্যদিকে সমস্ত প্রকার চেষ্টা করেও মনিকা দেবী যখন কোথাও সুরাহা করতে পারেননি তখন তিনি মেয়রের শরণাপন্ন হন। সমস্ত ঘটনা সামনে আসার পর মেয়র ফিরাদ হাকিম এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করবার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি জানান এই সমস্ত বিষয়ে গাফিলতি তিনি একদমই বরদাস্ত করবেন না। আগামী দিনে এই ফুটপাথ ভাড়ার কারবার কতটা বন্ধ হয় সেদিকেই নজর থাকবে আমাদের।