নৈহাটি, ২৭ ফেব্রুয়ারি : লক্ষ্য শিশু, কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতামূলক অঙ্কন প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো। সেই লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখেই জেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নৈহাটি নবপ্রজন্ম সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি পরিচালনায় জেলা ব্যাপী বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল নৈহাটির একটি স্কুলে।
বয়স ভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায় বিষয় ছিল ৫ থেকে ৭ বছর বয়স পর্যন্ত – যেমন খুশি আঁকো, ৭ বছর ১দিন থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত – পরিবেশ সচেতনতা, ১২ বছর ১দিন থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত – স্বাধীনতার ৭৫ বছর এবং ১৬ বছর ১দিন থেকে তদ্ধুর্ধ – সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নৈহাটি পৌরসভার সি আই সি তথা সোসাইটির সভাপতি পার্থপ্রতিম দাশগুপ্ত আমাদের এক সাংবাদিক বন্ধুকে বলেন, নৈহাটি নবপ্রজন্ম জেলা তথা বাংলা জুড়ে দীর্ঘ চার বছর ধরে বস্ত্রদান, স্বাস্থ্য শিবির, করোনাকালীন অসহায় মানুষের পাশে থাকা, আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রান পাঠানোর মতো বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে চলেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক গৌতম ঘোষ, শিক্ষক সুজয় দাস, শিক্ষক অরিজিত নাথ, শিক্ষক অর্ঘ্য সেনগুপ্ত, সমাজসেবী বিকাশ সাউ, শুভ্রজ্যতি চক্রবর্ত্তী ও সুনীল ভট্টাচার্য, ন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এর চেয়ারম্যান সোমনাথ ঘোষ, চিত্রশিল্পি অতনু দেবনাথ, নিরুপম ঘোষ, স্বর্নেন্দু প্রামানিক, শুভ্রজিত পাত্র সহ বিশিষ্টজনেরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শুভম দাস বলেন, প্রতিযোগিতায় দুই শতাধিক শিশু, কিশোর-কিশোরী উত্তর২৪ পরগণা, নদীয়া, হাওড়া ও হুগলি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণ করেছে। এদিনেই প্রতিটি বিভাগে প্রথম , দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে স্বর্গীয় প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী ও স্বর্গীয়া সান্ত্বনা চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার ও মানপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীকে দেওয়া হবে মানপত্র।
উক্ত প্রতিযোগিতায় ফর্মের যে মূল্য নেওয়া হয়েছে তা আর্থিক অসচ্ছল মেধাবী পড়ুয়াদের নিকট শিক্ষা সামগ্রী ক্রয় করে পৌছে দেওয়া হবে এবং প্রতিযোগিতার শেষে সকল অভিভাবক ও অভিভাবিকা মন্ডলীকে ধন্যবাদ জানানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। অনুষ্ঠান ঘিরে জেলা থেকে আগত সমস্ত প্রতিযোগীর বিপুল উৎসাহ ছিলো চোখে পড়ার মতো।