সিবিআই ২০২২ সালের ১১ই আগস্ট, গরু পাচার মামলায় বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে বীরভূম জেলার তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। আর তারপর থেকে তিনি জেলবন্দি। তাকে প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল, এরপরে তাকে ইডির মামলায় তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২১ই মার্চ থেকে তিনি তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন। ওই বছর গরু পাচার মামলাতে তার মেয়ে সুকন্যাকেও গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাকেও রাখা হয়েছিল তিহাড় জেলে। সপ্তাহখানেক আগে অনুব্রত জামিন পান। এরপর গত শুক্রবার অনুব্রত জামিন পান।
সকল আইনি বিষয় মিটিয়ে সোমবার তিহাড় থেকে ছাড়া পেয়ে মেয়ের সঙ্গে রাতেই ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলকাতাগামী বিমানে করে মঙ্গলবার সকালে কলকাতা নেমে সেখান থেকে সড়কপথে বাড়ি ফেরেন। দীর্ঘ ১৮ মাস পরে দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে শেষে বীরভূমে নিজের বাড়ি ফিরে কেঁদে ফেলেছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তার সঙ্গে দেখা করতে জমে বহুল নেতানেত্রী, সমর্থক, অনুগামীদের ভিড়। একের পর এক অভ্যাগতের সঙ্গে সাক্ষাৎপর্ব মিটিয়ে বেলার দিকেই খাওয়াদাওয়া করেন তিনি। তার পাতে ছিল ভাত, মাছের পদ এবং পছন্দের পোস্তর বড়া। খুব সামান্যই খেয়েছেন তিনি। এরপর টানা ঘুমিয়েছেন অনুব্রত।
নেতার পরিজন এবং ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে যে, দীর্ঘ সফরের ক্লান্তির পাশাপাশি অনুব্রতের শরীরও ভাল নেই। প্রায় দেড় বছর পর বাড়ির ছেলেকে বাড়িতে পেয়ে পরিবারের সদস্য থেকে আত্মীয়স্বজন সকলেই বেশ আনন্দিত। ঘনিষ্ঠরা জানান, বাড়িতে থাকলে তিনি প্রতিদিন পোস্ত খেতেন, কিন্তু জেলযাত্রার পর খাবারের মেনু একেবারে বদলে গেছে। তাই বাড়ি ফিরতেই কেষ্টর জন্য রান্না করা হয়েছিল পোস্তর বড়া। কেষ্ট খেয়েছেন, তবে আগের চেয়ে অনেক কম পরিমাণে।
অনুব্রতের ভাই প্রিয়ব্রত মণ্ডল ওরফে বাবলু জানিয়েছেন, ‘‘দাদার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুব ভাল না হলেও বাড়ির লোকেদের ভালবাসায় তৈরি খাবার ওকে বেশ আনন্দ দিয়েছে। দুপুরে ভাত আর পোস্তর বড়া খেয়েছেন, তবে খাবারের পরিমাণ খুব কম। বেশি কিছু খায়নি। খাওয়াদাওয়া এ বার থেকে নিশ্চয়ই কন্ট্রোল করবে। দাদাকে হয়তো চিকিৎসকেরাও দেখতে আসবেন।’’