আজ মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’। পুলিশ এর তরফ থেকে এর অনুমতি না দিলেও একাধিক রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছে জোরদার। কারণ মঙ্গলবার বড় জমায়েতের অনুমান করা হয়েছে। এই কারণে নবান্নের পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ রাখা হচ্ছে, এর পাশাপাশি কিছু রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই নবান্ন অভিযান রুখতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রীতিমতো প্রস্তুতি সেরে রাখছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখভালের জন্য চার জন আইজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক ছাড়াও ডিআইজি এবং এসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকেরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন। এর পাশাপাশি দুই হাজারের বেশি পুলিশকর্মীকে রাস্তায় নামানো হচ্ছে।
হাওড়া ছাড়াও কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্মীরা আসছেন। এদিন সকাল থেকেই হাওড়া সেতুর উভয়মুখী রাস্তার বাঁ দিকে একের পর এক পুলিশ ভ্যান, গার্ডরেল দাঁড় করানো হয়েছে। সেতুতে ওঠার ঠিক মুখে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড এবং কাঠের গুঁড়ি রাখা হচ্ছে। বিদ্যাসাগর সেতুতেও যাতে কোনো মিছিল উঠতে না পারে, সেই জন্য সেতুতে ওঠার সমস্ত রাস্তায় থাকছে ব্যারিকেড। মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড, হাওড়া ময়দানের কাছে ব্যারিকেড তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, ফোরশোর রোড, লক্ষ্মীনারায়ণতলা এবং মন্দিরতলায় বড় ব্যারিকেড তৈরির পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। এছাড়াও নবান্নের আশপাশে গলির মুখগুলি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে বলে স্থির হয়েছে।
মঙ্গলবারের জমায়েত রুখতে জলকামান, ড্রোন এবং কাঁদানে গ্যাসের উপরে আস্থা রাখতে চাইছে পুলিশহাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা ব্যারিকেড তৈরির কাজ দেখভাল করছেন। টার্ফ ভিউ রোড, হেস্টিংস মাজার, ফারলং গেট ও খিদিরপুর রোডেও থাকছে অ্যালুমিনিয়ামের গার্ডওয়াল। গত রবিবার কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল যে, মঙ্গলবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কলকাতার বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিদ্যাসাগর সেতু, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোড, হাওড়া সেতু, জওহরলাল নেহরু রোড, আরআর অ্যাভিনিউ, রেড রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, এজেসি বোস রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, এমজি রোড, ব্র্যাবোর্ন রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেই লালবাজারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
যদিও সকাল থেকে হাওড়া সেতু এবং বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি বাস চলছে, অন্য দিনের তুলনায় কমেছে বাস চলাচলের পরিমাণ। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, বাসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে অনেকেই শেষপর্যন্ত মেট্রো এবং ফেরি সার্ভিস এর মাধ্যমে গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। অফিসযাত্রীরা বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা মাথায় নিয়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।