বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচি চলকালে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে একদল ব্যক্তি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুম তছনছ করে। এমনকি হাসপাতালের বাইরের চত্বরেও হামলা চালানো হয়। চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়, এমনকি আরজি করের পুলিশ ফাঁড়িতেও চলে ভাঙচুর। পুলিশকর্মীদের উপর চালানো হয় হামলা এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
কলকাতা পুলিশ এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল। লালবাজারের একটি সূত্র মারফত জানা যায় যে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। লালবাজারের তরফ থেকে তিনটি মামলা রুজু করা হয়। কলকাতা পুলিশ, আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েক জনের ছবি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার সকালে ‘সন্ধান চাই’ বলেও বিজ্ঞপ্তি দেয়। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ওইদিনের ঝামেলার ৫০টিরও বেশি ছবি প্রকাশ করা হয়। তাতে বেশ কয়েক জন পুরুষ ও মহিলাকে লাল গোল দাগে চিহ্নিত করে তাদের সন্ধান চায় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টে লেখা হয়, ‘‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’’ কলকাতা পুলিশ, শুক্রবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে জানিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই পোস্টে লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার সহায়তায় আরো পাঁচ জন হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি, শুক্রবার কলকাতা পুলিশের এক্স হ্যান্ডলে আরো কয়েক জনের ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, “যদি আপনারা আমাদের আগের পোস্ট থেকে কোনও অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারেন, তবে দয়া করে আমাদের জানান।”