এবার হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হলেন নিহত। ইরানের রাজধানী তেহরানে তার নিজ বাড়িতে ঢুকে তাকে খুন করা হয় বলেই দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এমনকি তার সঙ্গে তার দেহরক্ষীকেও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার ৩১শে জুলাই এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, বুধবার ভোরে হামাস প্রধান হানিয়ার নিজ বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছিল। কারা হামলা চালিয়েছে সেই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি, তবে হামাসের দাবি, হানিয়ার মৃত্যুর জন্য দায়ী ইজরায়েল।
এই প্রসঙ্গে ইজরায়েল সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনোরকম বিবৃতি জারি করা হয়নি। হামাস এবং ইরান সেনার বিবৃতি অনুযায়ী, ‘জিওনিস্ট’রা হানিয়ার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তারা।’ আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, হানিয়া মূলত ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তেহরানে গেছিলেন। ইজরায়েল সেনার বিরুদ্ধে এর আগেও হানিয়ার পরিবারের একাধিক সদস্যকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল। চলতি বছরের জুন মাসে উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের পাশে হানিয়ার পরিবারের বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল সেনারা।
আর সেই হামলায় হানিয়ার পরিবারের ১০ সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল বলে খবর। ইজরায়েলি সেনার হামলায় তার তিন পুত্রের মৃত্যু হয়েছিল। আবার এর আগে ইজরায়েলি হামলার হানিয়ার ভাই এবং ভাইপোও গাজায় মারা গেছিলেন। বিগত প্রায় ১০ মাস ধরে গাজাতে বোমাবর্ষণ করে চালিয়েছে ইজরায়েল। গাজা নগরী কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আল জাজিরা-এর হিসাবে নিহত হয়েছেন ৩৮,৮৪৫ এবং আহত হয়েছেন ৮৮,২০০ জন। যদিও নিহতের সংখ্যা ১,৮৬,০০০ ছাড়িয়ে থাকতে পারে বলে জানা গেছে। এই মৃত্যুমিছিলের শেষ কোথায় কেউ তা জানে না।