এবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহ বাংলার স্কুলগুলিতে শিক্ষকের শূন্যপদ কত তা নিয়ে মুখ খুললেন। রাজ্যে শিক্ষকের কত শূণ্যপদ রয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে বিরোধী দল, এমনটাই দাবি করে প্রকৃত অর্থে কত শূন্যপদ রয়েছে তার তথ্য দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিজেপির দাবি রাজ্যে তিন লক্ষের বেশি শূন্যপদ রয়েছে। এই দাবি ভুয়ো বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, তিন লক্ষ শূন্যপদের কথা যে বলা হচ্ছে সেটা একেবার ভুয়ো দাবি। বিভ্রান্তি তৈরির করার জন্য এই সব তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলো অযথা মিথ্যা কথা বলছে এবং রাজনীতির জন্য লাগাতার কুৎসা করছে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী এদিন বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দেন। আসলে মঙ্গলবার ব্রাত্য জানান,বর্তমানে গোটা রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে ২৬৭। আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪৭৩। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকের শূন্য পদ ২৮। উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি আরও কম, মাত্র ১৩ । রাজ্যে শিক্ষকের শূন্যপদ কত, মঙ্গলবার বিধানসভায় তার একটা হিসাবও দিয়েছিলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে রাজ্যে শিক্ষকের মোট শূন্যপদ রয়েছে ৭৮১টি। মঙ্গলবার বিধানসভায় ব্রাত্য যে হিসাব দেখিয়েছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বিতর্ক শুরু হতেই শূন্যপদের নতুন হিসাব দিলেন ব্রাত্য। এরপরের দিনই অর্থাৎ বুধবার সংশোধিত হিসাব দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, শূন্যপদের সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি বলেছিলাম, শিক্ষকের শূন্যপদ কত, আমার পক্ষে এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব নয়।
কারণ প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ অবসর নিচ্ছেন। আমার কথা নিয়ে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য দিয়ে সেই বিতর্কের অবসান করতে চাই।’’এর পর রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থার চার স্তরে কোথায় কতগুলি শূন্যপদ আছে, নতুন করে ব্যাখ্যা দেন শিক্ষামন্ত্রী। শূন্যপদের আনুমানিক সংখ্যাই তিনি বলেছিলেন বলেও জানান।