সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রী যাতে বেরিয়ে না আসতে পারে বা কাউকে যাতে কিছু না বলতে পারে তাই শৌচাগারের দরজায় তালা লাগিয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যান সেখান থেকে। অবশেষে ওই ছাত্রের মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ফয়জউদ্দিন মোল্লা নামে ওই শিক্ষকের গ্রেফতার করেছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের এই ঘটনাটি ঘটেছে ২১ শে জুলাই। সেদিন স্কুলে শৌচাগারে যাওয়ার সময় ওই শিক্ষক ছাত্রীর পিছু নেন। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, শৌচাগারে ঢোকার সময় শিক্ষককে দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যান ওই সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বাধা দেওয়াই শিক্ষক জোর করে শৌচাগারে ঢুকে পড়েন। এরপর নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করা হয়। অবশেষে শৌচাগারে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান ওই শিক্ষক।
অন্যদিকে মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে স্কুলে খোঁজ নেন নির্যাতিতা ছাত্রীর মা। পরে শৌচাগার থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। মেয়ের কাছ থেকে সবকিছু জেনে প্রধান শিক্ষককে লিখিত অভিযোগ দেন অভিভাবিকা। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, এমন একটি মারাত্মক অভিযোগ পাওয়ার পরেও কিভাবে প্রধান শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিলেন না? স্কুলের তরফ থেকে কোন সহযোগিতা না পেয়ে অবশেষে পুলিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নির্যাতিতার মা।
এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, যৌনেশ্বর অভিযোগে কত ২৩ জুলাই সন্ধ্যায় নির্যাতিতার বাবা ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শিক্ষককে ঐদিন রাতেই গ্রেফতার করেন পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ পক্ষ আইনে মামলা রুজু করা হয়। সোমবার ওই শিক্ষককে কাকদ্বীপ আদালতে পেশ করা হলে তাকে সাত দিনের পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এই প্রসঙ্গে কাকদ্বীপ আদালতের সরকারি আইনজীবী সব্যসাচী দাস জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে পুলিশে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পক্স আইনের ৬ দ্বারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।