বুধবার, মে ২১, ২০২৫
Homeকলকাতাফের ডাহা ফেল ১০৪টি ওষুধ, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে তালিকা...

ফের ডাহা ফেল ১০৪টি ওষুধ, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের তরফে তালিকা প্রকাশ

প্রতিনিয়ত নিম্নমানের ওষুধ এবং জাল ওষুধের বিষয় প্রকাশ্যে আসছে। সেই বিষয়ে কিছু না জেনেই একেবারে নিশ্চিন্তে সাধারণ মানুষ সেই সকল ওষুধই বাজারে আসা মাত্রই ব্যবহার করছেন। আর পরে জানা যাচ্ছে যে, সেই ওষুধগুলি আসলে নিম্নমানের কিংবা জাল ওষুধ। তাই এই সকল ওষুধ নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে থাকছেন সকল রোগীরা। বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল, শহর ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরো দোকানে হানা দিয়ে সকল জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করছে।

জানা গেছে যে, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, প্রতি মাসেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাইকারি ও খুচরো দোকান থেকে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইঞ্জেকশন, স্যালাইনের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলিকে তাদের ল্যাবরেটরিতে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে। ইতিমধ্যে গোটা দেশ জুড়ে গুণমানের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করলো ফের ১০৪টি ওষুধ, যার মধ্যে কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে ফেল করেছে ২৭টি এবং এই রাজ্যের ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে ফেল করেছে একটি ওষুধ, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি রিঙ্গার্স ল্যাকটেটে ছত্রাক মিলেছে।

রাজ্যের ড্রাগ ল্যাবরেটরিতে শ্রীরামপুরের একটি সংস্থার তৈরি ওষুধও এই পরীক্ষায় ফেল করেছে।এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল, রক্তচাপের একটি ওষুধকেও পুরোপুরি জাল বলেই সন্দেহ করেছে, যার তদন্ত এখনো চলছে বলেই জানানো হয়েছে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, গত শনিবার নিজেদের পোর্টালে সেই সকল ওষুধ এবং নামী প্রস্তুতকারী সংস্থার নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের আধিকারিক সূত্রে খবর, বাজার থেকে যে সকল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয় তারই গুণগতমান কতটা ঠিক সেটি পরীক্ষা ক দেখা হয়। আর তাতেই ভেজাল ওষুধও ধরা পড়ে।

সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোলের তরফে কোন কোন ওষুধ পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পেটের আলসার, স্নায়ু রোগের ট্যাবলেট, কাশির সিরাপ, ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট, ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট, যৌনতাবর্ধক ক্যাপসুল, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন, ফুসফুসের সমস্যার ইঞ্জেকশন, অ্যানাস্থিশিয়া, কেমোথেরাপি, ব্যাকটিরিয়াজনিত সংক্রমণ-সহ অন্যান্য রোগের ইঞ্জেকশন, ফিনাইল এবং চোখের ড্রপ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments